বাকিংহাম থেকে প্রতি বছরই বড়দিনে বিশেষ বার্তা দেন রানি। সেটাই রাজকীয় রীতি। কিন্তু এবার হিতে বিপরীত হল সোনার পিয়ানোয়! দ্বিতীয় এলিজাবেথের কথা ছাপিয়ে নজর কেড়ে নিল ভিডিওতে তার পেছনে সোনার পিয়ানোটি। ব্রিটেন তো বটেই, সারা পৃথিবীজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে ওই পিয়ানো নিয়েই চর্চা। আর সেই চর্চার বেশির ভাগই আসলে সমালোচনা, বিদ্রুপ এবং টিপ্পনী। এক সময় মানুষ যে হাঁ করে রাজকীয় প্রাচুর্যের দিকে তাকিয়ে থাকত, সেদিন শেষ হয়ে গিয়াছে—সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকিয়ে তা-ই মালুম হচ্ছে।
কেউ বলছেন, করদাতাদের টাকায় প্রাসাদে বসে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ঐশ্বর্যের এই দেখনদারির নিন্দা ছাড়া কিছু প্রাপ্য নয়। কেউ রানির জবানীতে নিজের কথা বসিয়ে বলেছেন, ‘কত মানুষ খেতে পাচ্ছে না। রাস্তায় শুয়ে আছে! তাদের মন একটু অন্য দিকে ঘোরাতে এই দেখুন হাজির করেছি সোনার পিয়ানো!’ কেউ তিক্ত সুরে বলেছেন, পিয়ানোটা নিশ্চয় রানির চেয়েও বয়সে বড়! কেউ ফুট কাটছেন, আগামী বছর সোনার টুপিও পরে ফেলুন!
রানি তার বার্তায় জনগণের কথা বললেও ওই পিয়ানো আসলে জনতার সঙ্গে তার দূরত্বই বুঝিয়ে দিচ্ছে—এই হল জনতার রায়। রানি এমনিতে কথা বলেছেন অবশ্য ব্রেক্সিট ও ব্যয়সঙ্কোচ নিয়ে! তারপরে হালকা চালে বলেছেন, তার ‘তুমুল ব্যস্ততার’ কথা। পরিবারে পরপর বিয়ে, নাতি-নাতনির ভরা সংসারে তার দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে এ নিয়েও নানা জনে নানা কথা বলতে দ্বিধা করেননি। কিছু দিন আগে গুজব রটেছিল, দুই বৌমা অর্থাৎ কেট মিডলটন আর মেগান মার্কলের মধ্যে নাকি বনিবনা হচ্ছে না! বাকিংহাম সে গুজব ওড়ালেও গুঞ্জন থামেনি। সুখী সংসারের ছবি এঁকে রানি বিষয়টা ফের চাপা দিতে চাইলেন বলে কারো কারো মত। তবে বড়দিনে গির্জার পথে এবার দুই যুবরানিকে একসঙ্গে বেশ হাসিখুশিই দেখাচ্ছিল!